ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
২০২৩ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সবার নজর কেড়েছিলেন। আট বছর পর আবারও এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে বছর শেষ করেছিলেন তিনি, সে বছর তাঁর গোলের সংখ্যা ছিল ৫৪।
এর আগে ২০১৫ সালে ৫৭ গোল করে বছরের শেষটা শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। তবে পরিসংখ্যান বলছে, এবার রোনালদোর সেই কীর্তি পুনরাবৃত্তি করার সম্ভাবনা নেই। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ৪২টি।
এ বছর রোনালদোর সামনে রয়েছে আর মাত্র একটি ম্যাচ। আজ সৌদি প্রো লিগে আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে মাঠে নামবেন আল নাসরের এই তারকা। রোনালদোর ক্লাব আল নাসর ও জাতীয় দল পর্তুগালের জন্য এটি হবে বছরের শেষ ম্যাচ।
আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেও রোনালদোর গোলসংখ্যা হবে ৪৫। তাই গত বছরের গোল সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই তাঁর। এ কারণে অখ্যাত ভিক্টর গয়োকেরেসের চেয়ে গোল সংখ্যায় পিছিয়ে থেকেই বছর শেষ করতে হবে রোনালদোকে।
স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে অসাধারণ ফর্মে আছেন ভিক্টর গয়োকেরেস, যিনি চলতি মৌসুমে ফুটবলের অন্যতম চমক হিসেবে উঠে এসেছেন। লিসবনের হয়ে নিয়মিত গোল করছেন এই সুইডিশ স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে হারানোর পথে তিনি দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
এ পর্যন্ত ৫১ ম্যাচে গয়োকেরেস করেছেন ৫০ গোল। এ বছর তাঁর সামনে রয়েছে আরও চারটি ম্যাচ, যেখানে নিজের গোলের পরিসংখ্যান আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। ফলে গয়োকেরেসকে গোলসংখ্যায় পেছনে ফেলা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউরোপের অন্যান্য তারকাদের মধ্যে এবারের পঞ্জিকাবর্ষে গোলের দৌড়ে রয়েছেন হ্যারি কেইন ও রবার্ট লেভানডফস্কি। দুজনেই গতকাল পর্যন্ত করেছেন ৩৯টি করে গোল। তাদের সামনে এ বছর আরও চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। তবে গয়োকেরেসকে ছাড়িয়ে যেতে এই চার ম্যাচে দুজনকেই অন্তত ১২টি গোল করতে হবে, আর সঙ্গে প্রার্থনা করতে হবে যে সুইডিশ স্ট্রাইকার আর গোল করবেন না।
তবে বাস্তবতা হলো, এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই কোনো অপ্রত্যাশিত নাটকীয়তা না হলে গয়োকেরেসই শীর্ষ গোলদাতা হিসেবে মৌসুম শেষ করবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত বলা যায়।
Post a Comment