লিটন ও তানজিদের জোড়া সেঞ্চুরিতে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

 

বিপিএলের চলমান আসরে এর আগে ছয় ম্যাচ খেলেও জয়শূন্য ছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সিলেটে রাজশাহী দুর্বারের বিপক্ষে সপ্তম ম্যাচে একের পর এক ঝড় তুলেছেন লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। তাদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বিপিএল ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।

থিসারা পেরেরার নেতৃত্বাধীন দল নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ২৫৪ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস। মাত্র ৫৫ বলে খেলেছেন এই ইনিংসটি। তানজিদ তামিমও দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন, ৬৪ বলে করেন ১০৮ রান।

ঢাকার ব্যাটাররা ইনিংসে ১৮টি ছক্কা মেরেছেন—লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি, তামিমের ব্যাট থেকে ৮টি এবং সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে একটি। পাশাপাশি ইনিংসে ছিল ১৬টি চারের মার।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার দুই ওপেনার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ৫ ওভার ৩ বলের মধ্যেই দলীয় ৫০ পূর্ণ করে তারা। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫৯ রান। লিটন মাত্র ২৪ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। এরপর দলীয় ১০০ ছাড়ায় ৮ ওভার ৩ বলেই। অন্যপ্রান্তে ৩৫ বলে অর্ধশতক করেন তানজিদ তামিম।

১২ ওভার ৩ বলেই দলীয় স্কোর ১৫০ স্পর্শ করে। লিটনের ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি আসে ৪৪ বলে। ১৬ ওভার ৩ বলের মাথায় দলীয় রান ২০০ ছাড়ায়। তানজিদও ৬২ বলে শতক পূর্ণ করেন। শেষ ওভারে শফিউল ইসলামের বলে আকাশে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হওয়ার আগে ১০৮ রানে বিদায় নেন তিনি। লিটন অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। ঢাকার স্কোর থামে ২৫৪ রানে।

রাজশাহীর বোলারদের জন্য দিনটি ছিল দুঃস্বপ্নের। তাসকিন আহমেদ সবচেয়ে ইকোনোমিক্যাল বোলিং করেছেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৯ রান। অন্যদিকে, শফিউল দিয়েছেন ৬২ রান, সোহাগ গাজী ৫৬, সানজামুল ৩৫, এস এম মেহেরাব ৩৪ এবং রায়ান বার্ল ২১ রান।

Post a Comment

Previous Post Next Post