রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, এবং বন্ধুবান্ধব তার বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় জমান। তার এই সাফল্যে গর্বিত সবাই। সুশোভন জানান, ভালো ফলাফলের জন্য পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই।
সুশোভন এ বছর খুলনার সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। এর আগে, ২০২২ সালে তিনি টিএনটি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। তার শিক্ষাজীবনে প্রতিটি ধাপেই তিনি অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে সব বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছেন এবং প্রতিটি ক্লাসে বৃত্তি অর্জন করেছেন।
দেশসেরা হওয়ার পর সুশোভন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "পড়ালেখা বুঝে শুনে করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কী গুরুত্বপূর্ণ এবং কী অপ্রয়োজনীয় তা জানতে হবে। তবে নিয়মিত পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। আমার এই সাফল্যের পেছনে বাবা-মা, শিক্ষক এবং সহপাঠীদের ভূমিকা অসীম।"
সুশোভন আরও বলেন, "মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পর ভেবেছিলাম মেধাতালিকায় সেরা দশে থাকতে পারব। কিন্তু প্রথম হব, তা কল্পনাও করিনি। এটি আমার জন্য একটি বড় আশীর্বাদ। আমি ভবিষ্যতে নিউরোসাইন্সের চিকিৎসক হতে চাই এবং দরিদ্র মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি।"
সুশোভনের মা বন্দনা সেন বলেন, "আমরা ভীষণ গর্বিত। ছেলের সাফল্যের খবর শুনে আমি আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম। সুশোভন কখনও রাত জেগে পড়াশোনা করেনি, বরং প্রতিদিন নিয়ম মেনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পড়ালেখায় মনোযোগ দিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার।"
তার বাবা, স্কুল শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র বাছাড়, বলেন, "আমাদের একমাত্র সন্তান এমন একটি অর্জন করবে, তা কল্পনা করিনি। এটি সৃষ্টিকর্তার কৃপা। আমি চাই, আমার ছেলে একজন ভালো মানুষ হয়ে সমাজের সেবা করুক। তার জন্য সকলের আশীর্বাদ কামনা করছি।"
সুশোভনের এই অসাধারণ সাফল্য শুধু তার পরিবার নয়, পুরো এলাকাকে গর্বিত করেছে।
Post a Comment